1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ইইউর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১
  • ২২৫ Time View

প্রত্যয় ইউরোপ ওয়েব ডেস্ক:

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন৷ উইগুরদের উপর নির্যাতনের কারণে চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে প্রতিশোধমূলক এই পদক্ষেপ নিল বেইজিং৷

রাজনীতিবিদসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে চীন৷ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘ব্যাপক হস্তক্ষেপ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের’ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছে বেইজিং৷

বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ক্ষতিকরভাবে মিথ্যা ও ভুল তথ্য’ ছড়ানোর কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে৷

তালিকায় ইউরোপীয় ইউনিয়েনের পাঁচ সংসদ সদস্যের মধ্যে আছেন রাইনহার্ড বুটিকোফার, মিশায়েল গাহলার, রাফায়েল গ্লুকসমান, ইলহান কিউচুক ও মিরিয়াম লেক্সমান৷ এছাড়াও তালিকায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্মান মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ আদ্রিয়ান সেন্স, যিনি তিব্বত ও শিনজিয়াং এ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে জার্মানির প্রতিষ্ঠান মার্কেটর ইনস্টিটিউট ফর চায়না স্টাডিজ ও  ডেনিশ একটি সংস্থা৷

চীন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের পরিবার চীনের মূল ভূখণ্ড এবং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং ও ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না৷ সেই সঙ্গে তারা যেসব কোম্পানি ও ইনস্টিটিউট এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেগুলোও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না৷

এর আগে সোমবার চীনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ক্যানাডা৷ উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চারটি রাজ্যের আঞ্চলিক ও দলীয় প্রতিনিধি, শিনজিয়াং প্রদেশের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে ইইউ তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করে৷

ইইউর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

চীনের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এটিকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা৷

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, চীন তাদের নীতি বদল এবং ইইউর ন্যায্য উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়ার বদলে আবারো একচোখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ দেশটির পদক্ষেপকে তিনি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন৷

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি বলেছেন, বেইজিং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণেতাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার পরিণতি তারা ভোগ করবে৷ চীনের পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটা৷ এই ব্যাপারে চীনের রাষ্ট্রদূতকে দেশটি তলব করেছে বলেও জানান তিনি৷ একই ধরনের পদক্ষেপের নিয়েছে ফ্রান্সও৷ চীনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্রাসেলস ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলমস৷

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম আসা জার্মান আইন প্রণেতা রাইনহার্ড বুটিকোফার চীনের পদক্ষেপকে পরিহাস হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘তারা (চীন) শুধু নিজের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছে না৷ এখন এর বাহ্যিক রূপ দিতে চায়৷ আমি মনে করি গণতন্ত্রের শক্তিকে তারা অবমূল্যায়ন করছে৷’’

ইইউ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

শিনজিয়াং অঞ্চলের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে ইইউ৷ ১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গণহত্যার ঘটনার পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল জোটটি৷

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্তোনি ব্লিনকেন একে ট্রান্সআটলান্টিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জন্য এটি একটি কড়া বার্তা৷ সামনের দিনে সম্মিলিত এমন পদক্ষেপ চলতে থাকবে বলে জানান তিনি৷ ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন ও ক্যানাডাও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে৷

সূত্র :ডয়েচে ভেলে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..